আল খলিল এয়ার ইন্টারন্যাশনাল এর
ওমরাহ সেবা
ওমরাহ ও হজ্বের মধ্যে বেশ কিছু তফাৎ রয়েছে, তবে ইসলামী দৃষ্টিকোন থেকে ওমরাহ করার জন্য হাদীস ও কোরআনে উল্লেখ রয়েছে। শুধু মাত্র কিছু নির্দিষ্ট দিন ছাড়া সবসময় ওমরাহ করা যায়। অনেকেই আর্থিক অসুবিধার অথবা শারীরিক অসুবিধার কারণে হজ্ব করতে পারেন না, তারা চাইলে কম খরচে ওমরাহ পালন করতে পারেন। ইমশিতা ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস প্রতি মাসে নিয়িমিত অত্যন্ত কম খরচে ও আন্তরিক সেবার মাধ্যমে ওমরাহ করতে আগ্রহীদের জন্য প্যাকেজ ঘোষনা করেন, এই প্যাকেজের আওতায় অথবা নিজের পছন্দ অনুযায়ী প্যাকেজ তৈরী করে ইমশিতা ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরসের মাধ্যমে যথাযথভাবে ওমরাহ পালন করতে পারেন। ইমশিতা ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস-এর ম্যানেজমেন্ট বোর্ড ও গাইড এই বিষয়ে যথেষ্ট অভিজ্ঞ হওয়াতে আগ্রহীগণ যথাযথভাবে ওমরা পালনের সুযোগ পান।
আপনার পছন্দ অনুযায়ী প্যাকেজ নিতে অথবা প্রয়োজন অনুযায়ী প্যাকেজ তৈরী করতে যোগাযোগ করুন।
আমাদের নিয়মিত ওমরাহ প্যাকেজ সমূহ
ওমরাহ প্যাজেজের মুল্য এয়ার টিকেট এর দাম ও অন্যান্য অবস্থার উপর নির্ভর করে পূণঃ নির্ধারিন হতে পারে।
ইকোনোমি প্যাকেজ
- প্যাকেজ মূল্য : সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী
- প্রাথমিক নিবন্ধন : ৩,০০,০০০/-
- সময ও দিন : নির্ধারিত
- হোটেল মক্ষা : ইকোনমি হোটেল দুরত্ব ৮০০-১২০০ মিটার
- হোটেল মদিনা :ইকোনমি হোটেল দুরত্ব ৪০০-৬০০ মিটার
- ফ্লাইট : বিমান, এয়ার এরাবিয়া, সালাম এয়ার
- ফুড : সংযুক্ত
- ট্রান্সপোর্ট : সংযুক্ত
- বিশেষ সেবা : জিয়ারাহ, গাইড, দায়ী
ষ্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ
- প্যাকেজ মূল্য : সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী
- প্রাথমিক নিবন্ধন : ৩,০০,০০০/-
- সময ও দিন : নির্ধারিত
- হোটেল মক্ষা : ৩ স্টার হোটেল, দুরত্ব ৮০০-১২০০ মিটার
- হোটেল মদিনা : ৩ স্টার হোটেল, দুরত্ব ৮০০-১২০০ মিটার
- ফ্লাইট : বিমান, এয়ার এরাবিয়া, সালাম এয়ার
- ফুড : সংযুক্ত
- ট্রান্সপোর্ট : সংযুক্ত
- বিশেষ সেবা : জিয়ারাহ, গাইড, দায়ী
ভিআইপি প্যাকেজ
- প্যাকেজ মূল্য : আলোচনা সাপেক্ষে
- প্রাথমিক নিবন্ধন : ৩,০০,০০০/-
- সময ও দিন : নির্ধারিত
- হোটেল মক্ষা : ৩ স্টার হোটেল, দুরত্ব ৮০০-১২০০ মিটার
- হোটেল মদিনা : ৩ স্টার হোটেল, দুরত্ব ৮০০-১২০০ মিটার
- ফ্লাইট : বিমান, এয়ার এরাবিয়া, সালাম এয়ার
- ফুড : সংযুক্ত
- ট্রান্সপোর্ট : সংযুক্ত
- বিশেষ সেবা : জিয়ারাহ, গাইড, দায়ী
ওমরাহ
ওমরাহর আভিধানিক অর্থ হলো ধর্মকর্ম, ইবাদত, সুখকর, সেবা, স্থিতিশীল, জীবন, মহাপ্রাচীন, স্থাপত্য-স্থাপনা, প্রাপ্তি, অভ্যর্থনা, জিয়ারত বা সফর ও ইচ্ছা। যিনি ওমরাহ করেন, তাঁকে ‘মুতামির’ বলা হয়। ওমরাহর নির্দিষ্ট কাজকর্ম হলো ইহরাম, তাওয়াফ ও সাঈ, হলক, কছর ইত্যাদি। ওমরাহর নির্ধারিত স্থান হলো কাবা শরিফ, সাফা-মারওয়া ইত্যাদি। আফাকি তথা দূরবর্তী ওমরাহ সম্পাদনকারীর জন্য মদিনা মুনাওয়ারায় রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারত করা সুন্নত।
ওমরাহ সম্পাদনের বিশেষ কোনো সময় সুনির্দিষ্ট নেই; তবে হজের নির্ধারিত বিশেষ সময়ে (৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত পাঁচ দিন) ওমরাহ পালন করা বিধেয় নয়; এই পাঁচ দিন ছাড়া বছরের যেকোনো দিন যেকোনো সময় ওমরাহ প্রতিপালন করা যায়।
হজের সফরেও ওমরাহ করা যায়। একই সফরে একাধিক ওমরাহ করতে বাধা নেই। হজ যেমন জীবনে একবার ফরজ; তেমনি ওমরাহ জীবনে অন্তত একবার সুন্নত। রমজানে ওমরাহ পালন করা হজের সমান সওয়াব; শাওয়াল মাসও ওমরাহ করার জন্য উত্তম সময়। তবে হজ ফরজ থাকা অবস্থায় তা আদায়ের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও হজ সম্পন্ন না করে বারবার ওমরাহ করা অযৌক্তিক। কারণ, শত ওমরাহ একটি হজের সমকক্ষ হবে না। অনুরূপভাবে ওমরাহ আদায় করলে হজ ফরজ হয়ে যায় এমনটিও সঠিক নয়।
ওমরাহ পালনের নিয়ম
ওমরাহর জন্যও হজের মতোই মিকাত থেকে ইহরাম করতে হয়। বাংলাদেশ থেকে আমাদের মিকাত হলো ইয়ালামলাম পাহাড়, যা জেদ্দার পূর্বে অবস্থিত। মদিনা থেকে মিকাত হলো জুলহুলায়ফা নামক স্থান। মক্কা থেকে ওমরাহ করতে চাইলে তার মিকাত হলো তানয়িম বা আয়িশা মসজিদ অথবা জিরানা নামক জায়গা। (মক্কা থেকে হজের ইহরামের জন্য মিকাত প্রযোজ্য নয়)। ওমরাহকে ‘ওমরাহ হজ’ বা ছোট হজও বলা হয়। ওমরাহ নিজের জন্য যেমন করা যায়, তেমনি অন্যদের জন্যও করা যায়। জীবিত বা মৃত, ছোট বা বড়, আত্মীয় বা অনাত্মীয় যে কারও জন্য ওমরাহ আদায় করা যায়। ওমরাহ যেহেতু ফরজ বা ওয়াজিব নয়, তাই এর বদলি আদায় করা জরুরি নয়। তবে কোনো সামর্থ্যবান ব্যক্তি যদি অসিয়ত করে যান, তা আদায় করা ওয়াজিব হবে। এ ছাড়া কেউ কারও দ্বারা ওমরাহ করালে উভয়ে সমান সওয়াব পাবেন, কেউ কারও জন্য ওমরাহ সম্পাদন করলেও উভয়েই পূর্ণ সওয়াবের অধিকারী হবেন।
ওমরাহ পালন করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত আমল। এটি পুরুষ ও মহিলা সবার জন্য প্রযোজ্য। ওমরাহ করলে হজ ফরজ হয়ে যায় এরূপ কোনো বিধান নেই। ওমরাহ সম্পর্কে কোরআন করিমে রয়েছে, ‘নিশ্চয় সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনাবলির একটি; তাই যারা হজ করবে বা ওমরাহ করবে, তারা এ দুটি প্রদক্ষিণ (সাঈ) করবে।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৫৮)।
সৌদি আরবের দর্শনীয় স্থান সমূহ